মহররম মাসের নফল নামাজ সমূহ
মহররম মাসের নফল নামাজ সমূহ নিয়ে আজকে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা। আমরা অনেকেই জিজ্ঞেস করি মোহরম মাসের ইবাদত কি কি ? কিন্তু আমরা বুড়া হয়ে যাচ্ছি তবে দোআ জানি না ,তাই আজকে আমার এই পোস্ট। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন। যে, ব্যক্তি মহরম মাসের প্রথম রাত্রে মানে চাঁদ দেখার সাথে সাথে দু'রাকাত, দু'রাকাত করে ৮ রাকাত নফল নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা একবার ও সূরা এখলাস ১০ বার পাঠ করে আল্লাহ তায়ালা সারা বছর তার ধনসম্পদ, পরিবার পরিজন, ও সন্তান-সন্ততিতে, সকল প্রকার বালা মুসিবত থেকে নিরাপদে রাখবেন। এবং ,তাকে স্বীয় সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করবে।
আর, তার গত বছরের ছোট ছোট গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। হাদীস শরীফে আর উল্লেখ আছে ,যে ব্যক্তি এ মাসের প্রথম তারিখে দিনে যে কোন সূরা দ্বারা দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে, এবং রামাজানকে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে নিম্নলিখতির দোয়াটি পড়ে তবে দয়াময় আল্লাহ তায়ালা তার হেফাজতের জন্য একজন ফেরেশতা মোকাররার করেন । যে সারা বছর উক্ত ব্যক্তিকে মোর দুধ শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে এবং এবাদতে সাহায্য করে । দোয়াটি নিচে পিকচারের মাধ্যমে দেখানো হলো
অর্থ
হে আল্লাহ। তুমি চিরপূর্ণময়, চিরস্থায়ী ও অপরিবর্তনশীল। এটা নতুন বছর। আর তোমার পবিত্র দরবারে আমি কামনা করি যে, তুমি আমাকে এ বছর শয়তান ও তার সাংগোপাঙ্গদের প্রলোভন ও প্ররোচনা থেকে নিরাপদ রেখো। আর সমুদয় বালা মসিবতের অনিষ্টকারিতা হতে রক্ষা করো। আর যে কাজের দ্বারা আমি তোমার নৈকট্য লাভ করতে পারব সে কাজে আমাকে লিপ্ত কর।
হাদিস শরীফে আরো বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি নিজের জন্য দোযখের আগুন হারাম করতে চাই সে যেন এ মাসে নফল রোজা রাখে ।
হাদীস শরীফে আরো বর্ণিত আছে যে, এ মাসেই ইবাদতকারী ব্যক্তি যেন কদরের রাত্রিতে ইবাদত করার ফজিলত লাভ করল।
অন্য এক বর্ণনায় আছে যে ব্যক্তি এই মাসের প্রথম রাত্রে চাঁদ দেখার রাত্রে চার রাকাত নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা একবার ও সূরা ইখলাস এগারো বার করে পড়ে এবং নামাজানতে তিনবার পড়ে তবে আল্লাহ তা'আলা তাকে অসংখ্য দান করবেন ।
দোয়াটি হল
যেদিন সন্ধ্যায় পবিত্র মহরম মাসের চাঁদ উদিত হয়, সে রাতে সমস্ত রাত ইবাদতে কাটিয়ে দেয়া অতিশয় সোয়াবের কাজ । এ রাত্রে নিদ্রা যাওয়া কোন পরহেজগার মমিন লোকের পক্ষে কোন প্রকারে উদিত হয় না বা উচিত হয় না । এ রাত্রের প্রথম ভাগে, মধ্যভাগে, শেষ ভাগ ে এক একবার করে তিনবার সূরা ইয়াসিন পাঠ করা অতিশয় সোয়াবের কাজ ।
এ রাত্রে নফল নামাজ দোয়া-দরুদ ইস্তেগফার এবং কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে করতে রাতভর করে দেবে। সকাল বেলার চাচতির সময় উত্তম রূপে গোসল ওজু করে দুধু রান্না করে চার রাকাত তাই-হিয়াতুল অজুর নফল নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা একবার ও সূরা ইখলাস বারবার পাঠ করে নামাজে ইমাম হাসান রহমতুল্লাহি আলাই ও ইমাম হুসাইন রাহমাতুল্লাহ আলাই এর রুহ মোবারক এ সোয়াব রেশানি করবে ।
উপসংহার:
আশা করা যাই আজকে পুরো পোষ পড়ার মাধ্যমে আপনারা মহররম মাসের নফল নামাজ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানত পেরেছেন। আমাদের ইসলাম বিষয়ে অনেকেই উত্তর দিতে চাই না বা দেন না।
তবে ,আমরা সব সময় চেষ্টা করবো যে , আমরা সব সময় ইসলাম বিষয়ে উত্তর দিতে পারি। আমরা বিভিন্ন প্রকার ইসলামী পোস্টার মাদ্দমে আপনাদের সাহায্য করে যাবো। তবে আপনারা পাশে থেকে সাহায্য করে যাবেন ইন শা আল্লাহ। আজকে ওই পর্যন্তই ,আগামীতে আরো অনেক বোরো বড় বড় পোস্ট নিয়ে এপ্যাডের সামনে হাজির হবো.